বর্তমান সময় যে কোন কিছু রান্না করতে গেলে প্রথমে প্রথম যে উপকরণটি আমাদের কাজে লাগে তা হচ্ছে কাঁচা মরিচ। কাঁচামরিবারে ফলশ্রুতিতে যে কোন ধরনের রান্নায় একটি আলাদা ধরনের সাধ আসে। আমরা কম বেশি সবাই ঝাল খেতে পছন্দ করি। আবার অনেকেই রয়েছে যারা কাঁচা মরিছ একদম খেতে পারি না। আজকে আমাদের উল্লেখিত আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হচ্ছে কাঁচা মরিচের উপকারিতা ।
দিনে দু’টি কাঁচা মরিচ খাবেন যে কারণে
বর্তমান সময় মানুষের ঝাল খাবার খায় না বা ঝাল সম্পর্কে জানেনা এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর বর্তমান সময় যে কোনো ধরনের খাবার রান্নায় ঝাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে হয়তোবা কোন খাবারে কম ব্যবহার করা হয় হয়তোবা কোন খাবারে বেশি । আর বর্তমান সময়ে যে কোন খাবারকে ঝাল এর রূপ দিতে মরিচের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে মরিচকে তিন ভাগ ব্যবহার করা হয়।
শুকনা মরিচ
কাঁচামরিচ
মরিচ গুঁড়া
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা তরকারিতে মরিচ ব্যবহারের উপর ছাড়াও খাবার গ্রহণের সময়। আলাদা করে মরিচ খেয়ে থাকি। কাঁচা মরিচ শরীরের অ্যান্টিঅক্সাইড, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমত্ এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি কোন উপাদানের সাহায্য করে থাকে।বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান সম্পন্ন উপাদান রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ধরনের গুরুতর ও জটিল রোগকে নিরাময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা মরিচের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা প্রতিনিয়ত কোন মাত্রা ছাড়া চিনি গ্রহণ করে থাকে আর এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে কাঁচামরিচ এক জরিপে দেখা গেছে যে ৪০ শতাংশ হার্টের রোগীর হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচানোরজন্য কাঁচা মরিচ অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে যদি একজন ব্যক্তি সপ্তাহে চার দিন কাঁচা মরিচ খেয়ে থাকে তাহলে তার হার্ট এটাকের সম্ভাবনা থাকে না।
দিনে দু’টি কাঁচা মরিচ খাবেন যে কারণে
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা ঝাল খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত আমরা প্রতিনিয়ত ঝাল খাবার গ্রহণ করে থাকি আবার অনেকেই রয়েছে যারা ঝাল খাবার একদম গ্রহণ করতে পারি না আমরা যারা প্রতিনিয়ত ঝাল খাবার গ্রহণ করি তারা কোন একদিন যদি খাবারে ঝালের পরিমাণ কম হয়ে থাকে এর ফলশ্রুতিতে আমরা কাঁচামরিচ আলাদাভাবে গ্রহণ করে থাকে। কাচা মরিচ এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে । এছাড়াও কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, কপার পটাশিয়াম ভিটামিন কে, সি,বি৬,ডিফসফরাস, ডাইরেটরি ,ফাইবার ইত্যাদি।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাঁচা মরিচ বেশ কিছু সমস্যা থেকে আমাদেরকে খুব সহজে মুক্তি দিয়ে থাকে উল্লিখিত সমস্যাগুলো হচ্ছে ঃ-
ক্যান্সার আশঙ্কা কমায়
এন্টিঅক্সাইড নামক উপাদানের ভরপুর কাঁচামরিচ। আমরা যদি নিয়মিত কাঁচামরিচ গ্রহণ করে থাকি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের শরীরের ভিতরে যে সকল ক্ষতিকারক উপাদানগুলো রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের ভিতরে নানান ধরনের জটিল এবং কঠিন রোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করে সেগুলো কাঁচামরিচ সেবনের ফলশ্রুতিতে আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যাবে এবং কাঁচামরিচ সেবনের ফলশ্রুতিতে আমাদের শরীরে যদি ক্যান্সারের কোন ক্ষুদ্র বা ক্ষুদ্রতর কোষ থেকে থাকে তাহলে সেই কোষ বা সেল গুলোকে খুব সহজেই কাঁচা মরিচ ধ্বংস করে দিতে পারে যার ফলশ্রুতিতে ক্যান্সার আশঙ্কা কমাতে কাঁচামরিচ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
হার্ট ভালো রাখে
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় সকলি হার্ট এটাকে সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বা হার্টের সম্পর্কে জানি। হার্ট এটা কি এ বিষয়টি জানেনা এমন লোক খুঁজে পাওয়া বর্তমানে দুষ্কর । বর্তমানে হার্ট অ্যাটাক নামক সমস্যাটি প্রায় ছোট থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত সকল মানুষের মাঝে এই সমস্যাটি দেখা যায় । উল্লেখিত হার্ট অ্যাটাক নামক জটিল সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য কাঁচামরিচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা যদি নিয়মিত কাঁচামরিচ খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল গুলোকে খুব সহজেই ধ্বংস করে দিতে পারে এছাড়াও আমাদের শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।আর উল্লেখিত এই সমস্যাগুলোকে আমরা সমাধান করতে পারলেই হার্ট এটাক নামের সমস্যাটি থেকে আমরা খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারি তাই এক কথায় বলা যায় যে আমরা নিয়মিত যদি কাঁচা মরিচ গ্রহণ করে থাকি তাহলে আমাদের উল্লেখিত হয় এটা সমস্যাটি থেকে আমরা পরিত্রাণ পাবো।
সাইনাস দূর করে
কাঁচা মরিচ অত্যন্ত ঝাল এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি কারন এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপসিসিন নামক উপাদান ।যেটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন এবং উপকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । কাঁচা মরিচ খেলে অধিক পরিমাণে ঝাল লাগে যার ফলশ্রুতিতে আমাদের ব্রেনে রক্তে প্রবাহের পরিমাণ অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়। ফলে সাইনাস সাইজের যে ইনফেকশন রয়েছে বা যে কোষ বা সেল গুলো রয়েছে সেগুলোকে খুব সহজেই ধ্বংস করে দেয় ।আমরা যারা এই সাইনাসাইজ রোগে ভুগছি তারা চাইলেই খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে পরিমাণ মত কাঁচামরিচ গ্রহণের ফলশ্রুতিতে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে সবাই কমবেশি সচেতন কারণ আমাদের রোদ্রুদ্ধ ক্ষমতা কমে গেলে বিভিন্ন ধরনের জটিল এবং কঠিন সমস্যাগুলো দেখা দিবে এর ফলশ্রুতিতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হতে পারে ।আমরা যদি নিয়মিত দুটি করে কাস্টমারিস গ্রহণ করে থাকি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের শরীরে যে কোন ধরনের জটিল সমস্যাগুলো আর বৃদ্ধি পাবে না । জেডিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে এন্টিঅক্সাইড ও বিটা ক্যারোটিন ।যার ফলশ্রুতিতে জীবাণু বংশবিস্তার করতে পারে না। তাই আমাদের উচিত প্রতিনিয়ত কাঁচামরিচ গ্রহণের উপর লক্ষ্য দেয়া। এসব আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাঁচামরিচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ।